ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তবে, আলোচনায় বসার জন্য কিছু শর্ত রেখেছেন তিনি, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগামী শনিবার (১২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে ইরান প্রস্তুত। তবে, এই আলোচনায় বসার পূর্বশর্ত হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রথমে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হুমকি বন্ধ করতে হবে। এরপরই পারমাণবিক চুক্তি সইয়ের বিষয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে।
আব্বাস আরাগচি বলেছেন, "আমরা কূটনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী, তবে যদি যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বিরুদ্ধে সামরিক হুমকি দিতে থাকে, তাহলে আলোচনা অর্থহীন হয়ে পড়বে।"
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) থেকে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে বেরিয়ে গেলে চুক্তিটি ভেঙে পড়ে এবং এর পর থেকে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে চলেছে। हालांकि, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য শক্তিগুলোর মধ্যস্থতায় সম্প্রতি আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এখনও এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরানের এই শর্ত মেনে নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠিন হতে পারে, কারণ তারা ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি অব্যাহত রেখেছে।
ইউরোপীয় মধ্যস্থতাকারীরা আশা করছেন, উভয় পক্ষ যদি শর্ত শিথিল করে, তাহলে অচিরেই ভিয়েনায় আলোচনা পুনরায় শুরু হতে পারে।